📝 প্রথম ব্লগ পোস্ট (Episode 1):
নিঃশব্দ পাহাড়ে নিঃশ্বাস: বান্দরবানে একটি একান্ত ভ্রমণ
---
ভূমিকা:
> “পাহাড় কখনো চিৎকার করে না। তার নীরবতা দিয়ে সে হৃদয়ের গোপন কষ্টগুলো টেনে নেয় নিজের বুকে।”
বান্দরবান শুধু একটি ভ্রমণ স্থান নয়, এটি একান্ত মুহূর্তের সঙ্গী। শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক পবিত্র উপাসনালয় যেন।
---
যাত্রার শুরু:
ঢাকা থেকে রাত ১০টা নাগাদ আমি যাত্রা করি শ্যামলী পরিবহনে। গন্তব্য — বান্দরবান। জানালার পাশে বসে ছিলাম, পাশে ছিলো না কেউ। ছিল শুধু একটি ডায়েরি, আর একখানা কলম। এক ধরনের অজানা টান আমাকে ডেকে নিচ্ছিল।
---
পাহাড়ের কোলে প্রথম প্রহর:
সকালবেলা বান্দরবান শহরে পৌঁছেই মনে হলো, শহর তার দরজা খুলে দিয়েছে। নীল আকাশ, মেঘে ঢাকা টিলা আর পাখির ডাক — যেন প্রকৃতির কবিতা।
> “আমি পাহাড়কে ছুঁইনি, পাহাড় আমায় ছুঁয়েছে —
নীরবে, অদৃশ্য কোনো ছায়ায়।”
---
নীলাচলে নীরবতা:
নীলাচলে উঠলাম। চোখের সামনে ধরা পড়ল অসীম সবুজ আর নীলের এক মোহময় চিত্রকল্প। বসে রইলাম একটানা দুই ঘণ্টা — কোনো শব্দ নেই, কোনো ক্যামেরা নেই, কেবল অনুভব।
---
একটি কবিতা সেখানেই জন্ম নেয়:
> "নীল পাহাড়ের নিচে আমি দাঁড়িয়ে,
গর্জে ওঠা নয়, নীরব প্রেম ছিলো চারপাশে।
যে প্রেম চোখের ভাষায় বলে,
'ফিরে এসো, হারিয়ে যেয়ো না।'"
---
শেষ কথা:
বান্দরবান থেকে ফেরার পথে মনে হলো, আমি কিছুই আনিনি, কিন্তু অনেক কিছু রেখে এসেছি। হয়তো নিজের একটা অংশ, হয়তো কোনো না বলা কথা।
---
📌 পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
"আপনি যদি পাহাড় হতেন, কার অপেক্ষায় নীরবে থাকতেন?"
কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
---
📷 প্রস্তাবিত ছবি:
পাহাড়ের টপ ভিউ
পাহাড়ি পথ
এক কাপ চা হাতে ঝুলন্ত বারান্দা
---
➕ এখন কী করতে পারো:
আমি চাইলে তোমার জন্য পরবর্তী ৯টি ব্লগ পর্বও লিখে দিতে পারি।
চাইলে এগুলোর একটা সুন্দর WordPress ব্লগ ডিজাইন প্ল্যানও সাজিয়ে দিতে পারি।
নিজের কাব্য, কবিতা বা গল্প যোগ করে এই ব্লগ সিরিজকে নিজের বইতেও রূপ দিতে পারো!
---